কাবুল বিমানবন্দরে হামলার ঘটনায় বিশ্ব নেতারা যা বললেন

কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জোড়া হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ মেরিন সেনাসহ অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে হামলার নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, দুভার্গ্যবশত হতাশাজনক ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে। আফগানিস্তানে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস সেখানকার বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিচ্ছে। আফগানিস্তানে টেনশনের (দুশ্চিন্তা) কারণে রাশিয়া মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন।
অন্যদিকে, চীন বৃহস্পতিবার রাতেই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজান এক বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, অসংখ্য মানুষ নিহতের ঘটনা চীন শোকাহত। এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায় আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কতটা জটিল। আমরা প্রত্যাশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি উত্তরণে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। আফগানিস্তানে চীনের নাগরিকরা থাকলেও হামলায় তাদের কেউ নিহত হয়নি বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই আত্মঘাতি হামলার জন্য দায়ীদের শাস্তির মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করেছেন। এই হামলায় মার্কিন ১৩ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ২০১১ সালের পর একদিনে পেন্টাগনের জন্য এটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি।
‘আমরা সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিচলিত হবো না। আমরা আমাদের কার্যক্রম থামাতে দেব না। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের সরিয়ে নেয়া অব্যাহত রাখবো।’
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই হামলাকে “বর্বরোচিত” উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সরিয়ে আনার সাথে জড়িতদের ‘দুঃসাহসিক অভিযানের’ প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৃটেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্থানান্তর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি হামলায় নিহত আমেরিকান এবং আফগানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং যারা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত আছেন তাদের প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, ‘আমরা যতোটা সম্ভব লোকদের সরিয়ে আনার কাজ অব্যাহত রেখেছি।’ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগান জনগণের পাশে রয়েছে।
চেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকব কুলহানেক বলেছেন, ‘আফগান এবং মার্কিন সেনা সদস্যদের মৃত্যুতে আমি শোক প্রকাশ করছি।’ তিনি এই হামলাকে ‘ঘৃন্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগহি এই হামলাকে ‘নিকৃষ্ট এবং ভয়ঙ্কর’ উল্লেখ করে নিন্দা জানান।
সুইডিস পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন লিনডে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং ন্যাটো মহাসচিব হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং সৌদি আরব, তুরস্ক এবং মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইনে এরিকসন সোরিডে এক টুইটে বলেছেন, ‘এই হামলা দেশ ছাড়ার চেষ্টারত নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর জঘণ্যতম নিষ্ঠুরতা।’ পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজেজ দুদা এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ উল্লেখ করে নিন্দা জানান।